Financial Inclusion Department

Site Map |

অনিবাসী বাংলাদেশী (এনআরবি)

প্রবাসী বাংলাদেশীরা দেশে যে ধরনের বৈদেশিক মুদ্রা হিসাব খুলতে ও পরিচালনা করতে পারেন

- ব্যাংকের অনুমোদিত ডিলার শাখায় বৈদেশিক মুদ্রায় অনিবাসী চলতি ও মেয়াদী জমা হিসাব পরিচালনা করতে পারেন (যা অন্যান্য জাতীয়তার অনিবাসীদের জন্যও উন্মুক্ত);

- এসব হিসাবের স্থিতি মুনাফা/সুদ সমেত অবাধে বিদেশেও প্রত্যাবাসন করা যায়।

বাংলাদেশে নিবাসীরা ফরেন কারেন্সি একাউন্ট পরিচালনা করতে পারেন

বিদেশ সফর শেষে প্রত্যাগত নিবাসীরা সঙ্গে আনা অব্যবহৃত বৈদেশিক মুদ্রা ব্যাংকের অনুমোদিত ডিলার শাখায় রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি ডিপোজিট হিসাবে  জমা করতে পারেন। হিসাবের স্থিতি টাকায় নগদায়ন ছাড়াও পরবর্তীতে বিদেশ যাত্রার সময় হিসাবধারী সঙ্গে নিয়ে যেতে পারেন বা রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি ডিপোজিট হিসাবের বিপরীতে ইস্যুকৃত আন্তর্জাতিক কার্ডের মাধ্যমে বিদেশে ব্যবহার করতে পারেন।

বিদেশ থেকে বাংলাদেশে অর্থ প্রেরণের বৈধ পন্থা

- প্রবাসী আয় ব্যাংকিং ব্যবস্থার পাশাপাশি এক্সচেঞ্জ হাউসের মাধ্যমেও বাংলাদেশে রেমিটেন্স করা যায়। প্রাপকের অনুকূলে রেমিটেন্স/চেক/ড্রাফট/টিটি/এমটি ইত্যাদি শুধুমাত্র বাংলাদেশে ব্যবসারত কোন ব্যাংকের মাধ্যমে সংগ্রহ করা বৈধ।

- বাংলাদেশে ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহের যে কোন পন্থা (যেমন অবৈধ হুন্ডি কার্যক্রম) অবলম্বন Foreign Exchange Regulation Act, ১৯৪৭ (সেপ্টেম্বর, ২০১৫ পর্যন্ত সংশোধিত) এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের আওতায় দন্ডনীয় অপরাধ।

স্থানীয় উৎসের তহবিল অনিবাসী বৈদেশিক মুদ্রা হিসাবে জমা করার বিধান

      বিদেশ থেকে আনীত অর্থের ওপর অর্জিত বৈধ মুনাফা ছাড়া অন্যবিধ স্থানীয় উৎসের কোন তহবিল বৈদেশিক মুদ্রা হিসাবে জমা করা যায় না।

প্রবাসী/অনিবাসী বাংলাদেশী ও অন্যান্য জাতীয়তার অনিবাসীরা বাংলাদেশে যে ধরনের আর্থিক বিনিয়োগ  করতে পারেন

- বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশীরা টাকায় সরাসরি ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারেন। এ বিনিয়োগের আসলের অংক বৈদেশিক মুদ্রায় অবাধে বিদেশে প্রত্যাবাসনযোগ্য এবং মুনাফার অংক টাকায় বাংলাদেশে ব্যবহারযোগ্য।

- প্রবাসী/অনিবাসী বাংলাদেশী ও অন্যান্য জাতীয়তার অনিবাসীরা বাংলাদেশে টাকায় সরকারি ট্রেজারী বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারেন। মেয়াদ পূর্তিতে অথবা যে কোন সময় সেকেন্ডারি মার্কেটে বিক্রয় করে আসল ও মুনাফা অবাধে বিদেশে প্রত্যাবাসন করা যায়।

- অনুমোদিত ডিলার ব্যাংক শাখায় নন-রেসিডেন্ট ইনভেস্টরস টাকা হিসাব (NITA) এর মাধ্যমে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত শেয়ার/সিকিউরিটিজ এ বিনিয়োগ করতে পারেন। এসব বিনিয়োগের আসল ও মুনাফা অবাধে বিদেশে প্রত্যাবাসন করা যায়।

- অনিবাসী বাংলাদেশীগণ বাংলাদেশ সরকারের মার্কিন ডলার প্রিমিয়াম বন্ড ও মার্কিন ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারেন। এগুলোর আসল এবং ইনভেস্টমেন্ট বন্ডের মুনাফা অবাধে বিদেশে প্রত্যাবাসনযোগ্য, প্রিমিয়াম বন্ডের মুনাফা টাকায় বাংলাদেশে ব্যবহার করা যায়।

- অনিবাসী ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান কর্তৃক NITA হিসাবের মাধ্যমে Alternative Investment Fund এর পাশাপাশি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন অনুমোদিত Open End Mutual Fund এ বৈদেশিক পোর্টফোলিওতে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।

- রপ্তানিকারকদের প্রত্যাবাসিত রপ্তানি আয়ের নির্ধারিত অংশ অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকে রপ্তানিকারকের রিটেনশন কোটা একাউন্টে জমা রাখা যায়। এ হিসাবের স্থিতি রপ্তানিকারকের ব্যবসায়িক বিদেশ ভ্রমণ বা ব্যবসায়িক প্রয়োজনে বৈদেশিক মুদ্রায় ব্যবহার করা যায়।

 

যে ধরনের বৈদেশিক মুদ্রা প্রাপ্যতার বিপরীতে আন্তর্জাতিক কার্ড (ক্রেডিট/ডেবিট/প্রি-পেইড) ব্যবহার করা যায়

     বার্ষিক ব্যক্তিগত ভ্রমণ কোটা, নিবাসী বৈদেশিক মুদ্রা হিসাবের স্থিতি, রপ্তানিকারকদের রিটেনশন কোটা হিসাবের স্থিতি, অনুমোদিত বেসরকারী হজ এজেন্সিসমূহকে বরাদ্দকৃত বৈদেশিক মুদ্রা, হজ পরিপালনের উদ্দেশ্যে হজযাত্রীদের জন্য বরাদ্দ বৈদেশিক মুদ্রা, সরকারি ও বেসরকারি খাতে দাপ্তরিক বা পেশাগত প্রয়োজনে ভ্রমণের জন্য ছাড়যোগ্য অংক, ব্যবসায়িক ভ্রমণ কোটা, ব্যক্তিগত বৈদেশিক মুদ্রা হিসাবের স্থিতির বিপরীতে, BASIS সদস্য আইটি/সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানের বাৎসরিক রেমিটেন্স সুবিধা, বিদেশী প্রফেশনাল এবং সায়েন্টিফিক প্রতিষ্ঠানের সদস্য ফি’র পাশাপাশি বিদেশী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আবেদন, রেজিস্ট্রেশন, ভর্তি, পরীক্ষা ফি TOEFL, SAT etc.), স্বতন্ত্র ডেভেলপার/ফ্রিল্যান্সারদের আইটি সংশ্লিষ্ট ব্যয় নির্বাহের জন্য বাৎসরিক বরাদ্দকৃত বৈদেশিক মুদ্রা, স্বতন্ত্র ডেভেলপার/ফ্রিল্যান্সারদের রপ্তানিকারকদের প্রদত্ত সেবার বিপরীতে প্রাপ্ত অন্তর্মূখী রেমিটেন্স জমাকরণের জন্য, প্রদত্ত সেবার ভিসা প্রসেসিং ফি, আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড ব্যাংকের অনুমোদিত ডিলার শাখা থেকে সংগ্রহ ও ব্যবহার করা যায়।

বিদেশগামীরা বাংলাদেশ ত্যাগ কালে এবং বিদেশ থেকে আগতরা বাংলাদেশে আসার সময় যে পরিমাণ বাংলাদেশী টাকা সঙ্গে রাখতে পারেন

   অনধিক দশ হাজার টাকা।

বাংলাদেশে আগত অনিবাসী নাগরিকের সঙ্গে আনা বৈদেশিক মুদ্রা টাকায় ভাঙ্গানোর পর বৈদেশিক মুদ্রায় পুনঃরূপান্তরের নিয়ম

বাংলাদেশে আগত অনিবাসী নাগরিকের সঙ্গে আনা বৈদেশিক মুদ্রা টাকায় ভাঙ্গানোর পর বৈদেশিক মুদ্রায় পুনঃরূপান্তর করা যায়। তবে:

- যে অনুমোদিত ডিলার ব্যাংক এর কাছে বৈদেশিক মুদ্রা টাকায় ভাঙ্গানো হয়েছিল, সেই অনুমোদিত ডিলার ব্যাংক থেকে অব্যয়িত টাকার অংক বৈদেশিক মুদ্রায় পুনঃরূপান্তর করে সংশ্লিষ্ট অনিবাসী বাংলাদেশ ত্যাগ কালে সঙ্গে নিতে পারেন;

- এছাড়াও বাংলাদেশে আগত অনিবাসীগণ তাদের রূপান্তরকৃত টাকা যে কোন লাইসেন্সপ্রাপ্ত মানিচেঞ্জার এর নিকট থেকে নগদায়ন সনদ উপস্থাপন সাপেক্ষে বৈদেশিক মুদ্রায় পুনঃরূপান্তর করতে পারেন। তবে মানিচেঞ্জারের ক্ষেত্রে পুনঃরূপান্তরিত বৈদেশিক মুদ্রার অংক ৫০০ মার্কিন ডলারের বেশি হবে না;

- বিমানবন্দরের বহির্গমন লাউঞ্জে অবস্থিত ব্যাংক বুথ হতে বাংলাদেশী টাকা হতে অনধিক ১০০ (একশত) মার্কিন ডলার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রায় পুনঃরূপান্তর করা যায়।

বিদেশে অভিবাসন আবেদনের ফি ইত্যাদি বাবদ বাংলাদেশে নিবাসীদের বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয়ের বিধান

বিদেশী অভিবাসন কর্তৃপক্ষ যাচিত সনদপত্র মূল্যায়ন ফি, ইমিগ্রেশন ভিসা ফি ও রাইট অব ল্যান্ডিং ফি বাবদ বৈদেশিক মুদ্রা অনুমোদিত ডিলার ব্যাংক থেকে ক্রয় ও প্রেরণ করা যায়।

বাংলাদেশে নিবাসী কর্তৃক স্থাবর সম্পত্তি বিক্রয়লব্ধ টাকা বৈদেশিক মুদ্রায় বিদেশে প্রেরণের বিধান

    বাংলাদেশী টাকা মূলধনী খাতে রূপান্তরযোগ্য নয় বিধায় বাংলাদেশের স্থাবর সম্পত্তি বিক্রয়লব্ধ অর্থ বৈদেশিক মুদ্রায় রূপান্তরপূর্বক বিদেশে প্রেরণের সুযোগ নেই।

 বিদেশে প্রত্যক্ষ বা পোর্টফোলিও বিনিয়োগ বাংলাদেশে নিবাসীদের জন্য উন্মুক্ত কি না

 do and dont 2 না।  

বাংলাদেশে নিবাসীরা বিদেশ থেকে অবাধে ঋণ/আগাম নিতে পারেন কি না

 না। তবে:

-  বাংলাদেশে নিবাসীরা ব্যক্তি খাতে শিল্প উদ্যোগ অর্থায়নের জন্য বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এর পূর্ব অনুমোদনক্রমে বিদেশ থেকে মধ্য বা দীর্ঘ মেয়াদী ঋণ নিতে পারেন।

-  সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, অর্থ মন্ত্রণালয়ের Standing Committee on Non-Concessional Loan এর অনুমোদনক্রমে এবং বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রতিষ্ঠানসমূহ বাংলাদেশ ব্যাংক এর অনুমোদনক্রমে বিদেশ হতে ঋণ নিতে পারেন।

বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশী ও অন্যান্য জাতীয়তার অনিবাসীদের বাংলাদেশের ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ গ্রহণের বিধান

    বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশী ও অন্যান্য জাতীয়তার অনিবাসীরা অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট থেকে বৈদেশিক মুদ্রায় ঋণ নিতে পারেন। এছাড়াও বিদেশে কর্মরত অনিবাসী বাংলাদেশীগণ গৃহঋণ সুবিধা বাবদ টাকায় ঋণ নিতে পারেন।

আরও তথ্য বা ব্যাখ্যার প্রয়োজন হলে:

পরিচালক

বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ

বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রধান কার্যালয়

মতিঝিল বা/এ, ঢাকা।

ফোন: ৯৫৩০১২৩

NRB