বিদেশ থেকে বাংলাদেশে অর্থ প্রেরণের বৈধ পন্থা
- প্রবাসী আয় ব্যাংকিং ব্যবস্থার পাশাপাশি এক্সচেঞ্জ হাউসের মাধ্যমেও বাংলাদেশে রেমিটেন্স করা যায়। প্রাপকের অনুকূলে রেমিটেন্স/চেক/ড্রাফট/টিটি/এমটি ইত্যাদি শুধুমাত্র বাংলাদেশে ব্যবসারত কোন ব্যাংকের মাধ্যমে সংগ্রহ করা বৈধ।
- বাংলাদেশে ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহের যে কোন পন্থা (যেমন অবৈধ হুন্ডি কার্যক্রম) অবলম্বন Foreign Exchange Regulation Act, ১৯৪৭ (সেপ্টেম্বর, ২০১৫ পর্যন্ত সংশোধিত) এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের আওতায় দন্ডনীয় অপরাধ।
বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয়ের বৈধ পক্ষ
- বাংলাদেশ ব্যাংকের লাইসেন্স প্রাপ্ত তফসিলি ব্যাংক শাখা (Authorized dealer বা অনুমোদিত ডিলার) ও
- বাংলাদেশ ব্যাংকের লাইসেন্সধারী মানিচেঞ্জার।
- অনুমোদিত ডিলার ব্যাংক ও লাইসেন্সধারী মানিচেঞ্জার ছাড়া অন্য কোন পক্ষের সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয় Foreign Exchange Regulation Act, ১৯৪৭ (সেপ্টেম্বর, ২০১৫ পর্যন্ত সংশোধিত) এর আওতায় দন্ডনীয় অপরাধ।
কোন যাত্রী বিদেশ থেকে যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সঙ্গে আনতে পারেন
- বিদেশ থেকে আগত যাত্রী যে কোন পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সঙ্গে আনতে পারেন;
- তবে দশ হাজার মার্কিন ডলার বা সমমূল্যমানের বৈদেশিক মুদ্রার বেশি হলে তা শুল্ক কর্তৃপক্ষের কাছে ঘোষণা প্রদান করতে হবে।
বাংলাদেশে নিবাসীরা ব্যক্তিগত ভ্রমণ খাতে যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা কিনতে পারেন
ব্যক্তিগত ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশে নিবাসী কর্তৃক প্রতি পঞ্জিকাবর্ষে মাথাপিছু অনধিক ১২,০০০ মার্কিন ডলার ক্রয় করতে পারবেন।
বিদেশ থেকে পাঠানো অর্থ গ্রহণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে প্রাপকের নামে ব্যাংক একাউন্ট থাকার নিয়ম
বিদেশ থেকে পাঠানো অর্থ গ্রহণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে প্রাপকের নামে ব্যাংক একাউন্ট থাকা বাধ্যতামূলক নয়। তবে প্রাপকের অনুকূলে সংশ্লিষ্ট ড্রাফট/টিটি/এমটির অর্থ বাংলাদেশে তফসিলি ব্যাংকের মাধ্যমে সংগ্রহ করা বাধ্যতামূলক।
অনুমোদিত ডিলার নয় এমন ব্যাংক শাখায় প্রাপকের ‘টাকা একাউন্টে’ বিদেশ থেকে অর্থ প্রেরণ
অনুমোদিত ডিলার নয় এমন ব্যাংক শাখায় প্রাপকের ‘টাকা একাউন্টে’ বিদেশ থেকে অর্থ প্রেরণ করা যায়। তবে প্রাপকের হিসাবধারী ব্যাংক শাখা প্রাপ্ত অন্তর্মুখী রেমিটেন্স কোন অনুমোদিত ডিলার ব্যাংক শাখা থেকে টাকায় নগদায়ন করে নিতে হবে।
বিদেশ থেকে আনীত বৈদেশিক মুদ্রা সঙ্গে রাখার নিয়ম
- বাংলাদেশে নিবাসী কোন ব্যক্তি বিদেশ থেকে সঙ্গে আনা অনধিক দশ হাজার মার্কিন ডলার বা সমমূল্যমানের বৈদেশিক মুদ্রা নিজের কাছে বা অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকে রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সী ডিপোজিট হিসাবে জমা রাখতে পারেন;
- পরবর্তী বিদেশ যাত্রায় সঙ্গে নিয়েও যেতে পারেন;
- দশ হাজার মার্কিন ডলারের অতিরিক্ত পরিমাণ আনীত বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আসার এক মাসের মধ্যে অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকে/ লাইসেন্সধারী মানিচেঞ্জারের কাছে বিক্রি বা রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি ডিপোজিট একাউন্টে জমা রাখা নিবাসী বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য বাধ্যতামূলক;
- বিদেশ থেকে আগত অনিবাসীরা সঙ্গে আনা বৈদেশিক মুদ্রা (দশ হাজার মার্কিন ডলার বা সমমূল্যমানের বৈদেশিক মুদ্রার বেশী হলে তা শুল্ক কর্তৃপক্ষের কাছে ঘোষণা প্রদান সাপেক্ষে) নিজের কাছে বা অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকে নন রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি ডিপোজিট একাউন্ট/ প্রাইভেট ফরেন কারেন্সি হিসাবে জমা রাখতে পারেন;
- আনীত বৈদেশিক মুদ্রার অব্যবহৃত অংশ বাংলাদেশ ত্যাগ কালে সঙ্গে নিয়ে যেতে পারেন।
বিদেশ থেকে সঙ্গে আনা বৈদেশিক মুদ্রা নগদায়নের ক্ষেত্রে যে ধরনের রেকর্ড রাখা বাঞ্ছনীয়
আনীত বৈদেশিক মুদ্রার বিধিসম্মত সদ্ব্যবহারের প্রমাণ হিসেবে অনুমোদিত ডিলার ব্যংক বা লাইসেন্সধারী মানিচেঞ্জারের কাছে বৈদেশিক মুদ্রা বিক্রয়ের ক্ষেত্রে নগদায়ন সনদপত্র (encashment certificate) সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা উত্তম।
বিদেশে চিকিৎসা ব্যয় বাবদ বাংলাদেশে নিবাসীদের বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয়ের বিধান
বিদেশী চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের দেয়া ব্যয় প্রক্কলন মোতাবেক অনধিক ১০,০০০ মার্কিন ডলার বা সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অনুমোদিত ডিলার ব্যাংক থেকে কেনা যায়, এর বেশি মাত্রার বৈদেশিক মুদ্রা ছাড় করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমতি প্রয়োজন।
নগদ নোট আকারে বৈদেশিক মুদ্রায় ক্রয়যোগ্য/উত্তোলনযোগ্য অংকের পরিমাণ/সীমা
মার্কিন ডলার নগদ নোট আকারে এককালীন উত্তোলন/ছাড়ের পরিমাণ সীমা ৫,০০০ মার্কিন ডলার। সমুদয় ছাড়/উত্তোলনযোগ্য অংক অন্যান্য বৈদেশিক মুদ্রায় নগদ নোট আকারে নেয়া যায়, আন্তর্জাতিক কার্ড/ট্রাভেলার্স চেক/ড্রাফট আকারেও সমুদয় ছাড়/উত্তোলনযোগ্য অংক মার্কিন ডলারসহ যে কোন বৈদেশিক মুদ্রায় নেয়া যায়।